‘শিক্ষিকা সাজিয়াকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন ব্যাংকার ফারুক’
ফরিদপুরে বহুল আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা ও ব্যাংকার হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে জমা দেওয়া ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসান (৩৩) তাঁর প্রেমিকা কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমকে (৩৪)হত্যা করে পরে নিজে কক্ষের ফ্যানের সাথে নাইলনের দড়িগলায় ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।’
গত বছর ৬ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ ঝিলটুলী মহল্লার নূরুল ইসলামের দোতলা বাড়ির নিচ তলার একটি কক্ষ থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সাজিয়ার লাশ এবং সিলিং ফ্যানের হুকের সাথে গলায় নাইলনের রশি বাধা ফারুকের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরদিন রাতে নিহত সাজিয়ার ফুপু আফসারী আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কলেজ শিক্ষিকা হত্যাকান্ডের পরে ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ন্যায় বিচার চেয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
নিহত কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগম ফরিদপুর সরকারী সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি (সাজিয়া) ঢাকার সুত্রাপুর থানার বানিয়ানগর মহল্লার শেখ শাজাহানের মেয়ে এবং ওই একই এলাকার শেখ শহীদুল ইসলামের স্ত্রী। সাজিয়া এগারো ও সাড়ে চার বছর বয়সী দুই ছেলের মা। ফারুক হাসান সোনালী ব্যাংক ঢাকার মতিঝিল শাখার কর্মকর্তা ছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুরের পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে জানান, আলোচিত এ হত্যার ঘটনায় ময়না তদন্ত ও ভিসেরা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কলেজ শিক্ষিকা সাজিয়া বেগমকে হত্যা ও ব্যাংক কর্মকর্তা ফারুক হাসান এর আত্মহত্যা সম্পর্কিত মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মামলার আসামি সাদিয়ার স্বামী শহীদুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে সুপারিশ করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্থা বিপুল দে আরো বলেন, ‘ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে বিচারিক হাকিম অতিরিক্ত মূখ্য বিচারিক মাসুদ আলীর আদালতে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার জমা দেওয়া হয়।’