বিএনপিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে : ফখরুল
বিএনপিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিল-পূর্ব বক্তব্যে বিএনপি নেতা এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে অনেক চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই চক্রান্তগুলো হচ্ছে বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য। এর আগেও চেষ্টা করেছে, বিএনপিকে বিভক্ত করে তার শক্তিকে ছোট করে দেওয়ার জন্য। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, কোনোদিনই তারা (সরকার) সেটা পারবে না। যতবার বিপর্যয় এসেছে, ততবার বিএনপি সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ফিনিক্স পাখির মতোই জেগে উঠেছে এবং নতুন জীবন লাভ করেছে।’
‘আমাদের রাজনীতিকে বুঝে সেই রাজনীতির পক্ষে আমাদের অত্যন্ত শক্তভাবে অবস্থান নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদীর রাজনীতিকে ধারণ করে। সে জন্যই বিএনপির প্রতি তাদের এত দুর্বলতা, বিএনপিকে তারা ভালোবাসে।’
মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, ‘কিন্তু দেশের জনগণ বিএনপিকে ভালোবাসে, সেই ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে, দেশপ্রেমিক শক্তিগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলোকে শক্তিশালী করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভয়াবহ যে দানব গণতন্ত্রকে ধবংস করছে, আমার স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে—আজকে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তাদের পরাজিত করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সে জন্য তারা একের পর এক গণবিরোধী কাজগুলো করে চলেছে।’
আরাফাত রহমান কোকোকে স্মরণ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা একদিকে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফিরাত কামনা করব, তাঁকে স্মরণ করব; অন্যদিকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য অতিদ্রুত আমরা সংগঠিত হয়ে তাঁকে মুক্ত করে নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসব।’
মিলাদ মাহফিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সেলিমা রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, হালিমা নেওয়াজ আরলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বননীতে কোকোর কবর জিয়ারত করেন বিএনপি মহাসচিবসহ দলের নেতাকর্মীরা।
২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ৪৫ বছর বয়সে মালয়েশিয়ায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরাফাত রহমান কোকো। পরে মরদেহ মালয়েশিয়া থেকে ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় এনে বনানীতে দাফন করা হয়।