শ্রমিকের মেয়েকে অপহরণ করে দাবি ৫০ হাজার, পরে উদ্ধার
গাজীপুরে মুক্তিপণের দাবিতে নার্সারি শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে অপহরণের একদিন পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
এ সময় অপহরণকারী সন্দেহে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ওই যুবকের নাম শফিকুল ইসলাম (৩০)। তিনি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানার মগলিশপুর এলাকার বাসিন্দা।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব কুমার সাহা জানান, কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার জালালপুর গ্রামের মৃত রুবেল মিয়া ওরফে হৃদয়ের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন তাঁর সাত বছরের শিশুসন্তানকে নিয়ে শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। রাবেয়া স্থানীয় তাকওয়া ফেব্রিক্স গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেন। রাবেয়ার মেয়ে তাহমিনা আক্তার ওরফে আঁখিমণি স্থানীয় আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেনের নার্সারি শ্রেণিতে পড়ে। একই বাড়িতে ভাড়া থাকেন শফিকুল ইসলাম।
অভিযোগের বরাত দিয়ে এসআই দাবি করেন, গত সোমবার দুপুরে স্কুল ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে আঁখিমণিকে কৌশলে অপহরণ করেন শফিকুল। এদিকে আঁখি বাসায় ফিরে না আসায় স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিতে শুরু করেন। কিন্তু তার সন্ধান না পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানায় অভিযোগ করে তার পরিবার।
‘খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সন্ধ্যায় রাবেয়ার এক আত্মীয়ের মোবাইলে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে শফিকুল। না হলে আঁখিকে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। এ ঘটনাটি পুলিশকে না জানানোর জন্য খুদেবার্তাও পাঠান তিনি। পুলিশ অপহৃত ও অপহরণকারীর খোঁজে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অভিযানের একপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে শফিকুলের মোবাইল ফোনের অবস্থান নিশ্চিত করা হয়।’
এসআই আরো বলেন, ‘পরে পুলিশ ছদ্মবেশে অপহরণকারীর দেওয়া শর্ত অনুযায়ী, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় হাজির হয়। এ সময় পুলিশ ওই এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে অভিযান চালায়। ওই ভবনের দ্বিতীয়তলা থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী শফিকুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম জানান, অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধারের পর মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এর আগেও অন্য একটি অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় অপহরণকারী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দিনাজপুরের রেলওয়ে থানায় মামলা রয়েছে।