বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মান রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্টজ আজ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য তৃণমূল পর্যায় থেকে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা।’
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য তাঁর সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী কর্মসূচিসমূহের কথা তুলে ধরেন। সরকার ভবিষ্যতে এই এসএসএন কর্মসূচি আরো জোরদার করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী ও জার্মান রাষ্ট্রদূতের মধ্যে যোগাযোগ সেক্টরে সহযোগিতার বিষয়েও কথা বলেন।
জার্মান বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাঁর সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জার্মান বিনিয়োগকারীদের জন্য জমি বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত রয়েছে। তিনি রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আরো কতিপয় দেশকে ইতিমধ্যে শিল্প স্থাপনের জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের একটি বার্তা পৌঁছে দেন, যাতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নতুন মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের সাফল্য কামনা করেন।
বার্তায় জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘আপনার দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে আমি এ দেশের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।’
চ্যান্সেলর আরো বলেন, ‘অংশীদারত্বের চেতনা নিয়ে জার্মানি সর্বদা বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত জানান, তিনি আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার পড়েছেন এবং বলেন, ‘এই ইশতেহার বাস্তবায়নে তার দেশের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শিগগিরই দুটি জার্মান প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে।’
পিটার ফাহরেনহোল্টেজ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে এবং দুইদেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর মতো বহু খাত রয়েছে।’ তিনি সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্যের এবং হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘অনেক জার্মান কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’ তিনি জার্মানিতে বাংলাদেশি পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলাপকালে পিটার ফাহরেনহোল্টজ জানান, তিনি তিন দিনের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেছেন এবং সেখানে বিভিন্ন স্তরের লোকদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।