সিরাজগঞ্জে গৃহবধূ হত্যার দায়ে স্বামী ও তিন দেবরের মৃত্যুদণ্ড
সিরাজগঞ্জে গৃহবধূ সুমী রানী হত্যার দায়ে তাঁর স্বামী ও তিন দেবরের মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় দেন।
এই আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শেখ আবদুল হামিদ লাভলু ও অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ার পারভেজ লিমন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া ব্যক্তিরা সবাই পলাতক। তাঁরা হলেন সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কের সুবীর কুমার রায়, তাঁর তিন ভাই ডা. সুশীল কুমার রায়, সুনীল কুমার রায় ও মনোরঞ্জন কুমার রায়।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কের মৃত সতীশ চন্দ্র রায়ের ছেলে সুবীর কুমার রায়ের সঙ্গে টাঙ্গাইল শহরের সাহাপাড়ার গোপীনাথ বিশ্বাসের মেয়ে সুমী রানীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের মধ্যে আড়াই লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। যৌতুকের বাকি টাকার জন্য স্বামী সুবীর চন্দ্র রায় ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূ সুমীকে নির্যাতন করে আসছিলেন। এরই জের ধরে ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি সুমীকে গলা টিপে ও মারধর করে হত্যা করেন তাঁরা।
এর পর সুমীর দেবর মনোরঞ্জন রায় সুমী আত্মহত্যা করেছে বলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ময়নাতদন্তে সুমীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সুমীর স্বামী ও তিন দেবরকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর আসামিরা ভারতে পালিয়ে যান। দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।