আমার সঙ্গে বুলবুল ভাইয়ের অসংখ্য স্মৃতি : কুমার বিশ্বজিৎ

Looks like you've blocked notifications!
গণমাধ্যমে কথা বলছেন কুমার বিশ্বজিৎ। ছবি : এনটিভি

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কুমার বিশ্বজিৎ। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বুলবুল ভাইয়ের অসংখ্য স্মৃতি। আমি উনার প্রথম চলচ্চিত্রে গান করেছি। অ্যালবামে কাজ করেছি। রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান : তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতার সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একসঙ্গে কাটিয়েছি। বুলবুল ভাই চলে যাওয়ার পর মনে হলো এইসব ক্ষণজন্মা ব্যক্তি আর কবে আসবে আমাদের দেশে, এটা আমি জানি না।”

দেশের প্রখ্যাত সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আজ মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগরের নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তাঁর মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই আফতাবনগরের বাসায় যান কুমার বিশ্বজিৎ। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

প্রখ্যাত এই সংগীত পরিচালক ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭০ দশকের শেষলগ্ন থেকে আমৃত্যু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পসহ সংগীতশিল্পে সক্রিয় ছিলেন।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলী বাদল’ ছবিতে সংগীত পরিচালনার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন। অসংখ্য চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অন্যান্য অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।

তাঁর সুরের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারণ্য লাবণ্য’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘আম্মাজান আম্মাজান’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’ ও ‘এই বুকে বইছে যমুনা’ ইত্যাদি।