শূন্যরেখায় ব্রিজ হচ্ছে না, ইয়াবার কারখানা নেই
ইয়াবার পাচার রোধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে মিয়ানমারে কোথাও কোনো ইয়াবা কারখানাও নেই বলে দাবি করেছে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। এ ছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু শূন্যরেখায় কোনো ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে না, শুধু কাঁটাতারের বেড়া তৈরির পিলার নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গতকাল সোমবার মিয়ানমারের মংডুতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক শেষে টেকনাফে ফিরে বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধান এসব কথা বলেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকটি মংডু শহরের টাউনশিপ এক্সিট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল এবং বিজিপির পক্ষ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিন্ট থ্যুর নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়।
এর আগে সকাল ১০টায় টেকনাফ ট্রানজিট ঘাট দিয়ে মিয়ানমারের মংডুর উদ্দেশে রওনা দেয় বিজিবি প্রতিনিধিদল। বৈঠক শেষে বিজিবি প্রতিনিধিদল বিকেল ৫টায় টেকনাফ ফিরে আসে।
টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে ফিরে বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে বলেন, ‘ইয়াবার কারখানা ও পাচারের বিষয়টি বৈঠকে গুরুত্ব পেয়েছে। মিয়ানমারের বিজিপি কর্মকর্তা সে দেশে ইয়াবা কারখানা নেই বলে দাবি করেছেন এবং তাঁরাও ইয়াবার পাচার রোধে সীমান্তে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। এমনকি গত তিন মাসে তারা আসামিসহ ইয়াবার পাঁচ-সাতটি চালান আটক করেছে বলেও আমাদের জানায়।’
বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, ‘বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু শূন্যরেখায় ব্রিজ নির্মাণ বিষয়টি তুলে ধরলে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং এ বিষয়ে বিজিপি দাবি করেছে, তমব্রু শূন্যরেখায় মিয়ানমার ব্রিজ নির্মাণ করছে না, শুধু পিলার দিয়ে কাঁটাতারের বেড়াটা চলমান করা হচ্ছে বলে আমাদের জানিয়েছেন তাঁরা। তবে বিষয়টি দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী পর্যায়ে আলোচনা ছাড়া হওয়ায় তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বৈঠকে মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন সময়ে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের ছাড়িয়ে আনার ব্যাপারেও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ’
বিজিবির প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জহিরুল হক খান, নাইক্ষ্যংছড়ির ১১ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আসাদুজ্জামান, রামুর ৩০ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুর রহমান, আলীকদমের ৫৭ ব্যাটলিয়ন কমান্ডার খন্দকার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার রিজিয়ন পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ, মেজর মো. তারেক মাহমুদ সরকার, মেজর মোহাম্মদ বিন সাহিরুল ইবনে রিয়াজ ও মেজর জিএম সিরাজুল ইসলাম।