মিয়ানমারে বিজিবি-বিজিপি সীমান্ত বৈঠক
মিয়ানমারের মংডু শহরে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রিজিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে সীমান্ত বৈঠক ও আলোচনা সভা শুরু হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এই আলোচনা সভা শুরু হয়।
আলোচনা সভায় বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠানের নেতৃত্বে ১০ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
দুপুর ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় দুই দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক প্রতিরোধ, যৌথ টহল জোরদার, সীমান্তে মাইন অপসারণ ও চোরাচালান প্রতিরোধ বিষয়ে পারস্পরিক মতবিনিময় হয়।
বৈঠকের আগে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আইনুল মোর্শেদ খান পাঠান বলেন, ‘এটি একটি রিজিয়ন কমান্ডার লেভেলের কনফারেন্স। আমাদের টিমসহ আমরা ওখানে যাচ্ছি। ওখানে গিয়ে আমাদের মূল এজেন্ডা থাকবে দুই বর্ডারের মধ্যে সুন্দর কো-অর্ডিনেশন কীভাবে আমরা করতে পারি, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা কীভাবে আরো বেশি অপারেশন করতে পারি, কীভাবে এ বিষয়ে তারা আমাদের সাপোর্ট করবে, আমরা যে যৌথ টহল করি সে বিষয়েও আমরা কথা বলব। ওদের বর্ডারে কিছু মাইন আছে, সেগুলোকে কীভাবে তারা অপসারণ করবে, এ ব্যাপারেও আমরা কথা বলব। এ ছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে আমরা কীভাবে আরো সোচ্চার হতে পারি, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।’
বিজিবি প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন—বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস এম আয়েজিদ খান, বিজিবির বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জহিরুল হক খান, নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আসাদুজ্জামান, রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাহিদুর রহমান, আলীকদম ৫৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কমান্ডার খন্দকার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার রিজিয়ন পরিচালক (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালিদ আহমেদ, মেজর মো. তারেক মাহমুদ সরকার, মেজর মোহাম্মদ বিন সাহিরুল ইবনে রিয়াজ ও মেজর জি এম সিরাজুল ইসলাম।
আজ সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ সীমান্তের নাফ নদে অবস্থিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয়।