হলি আর্টিজানে মামলার আসামি মামুনুর রিমান্ডে
রাজধানীর সবুজবাগ থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা মামলার আসামি মো. মামুনুর রশিদকে পাঁচদিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া এ আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মকবুল হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব ৩-এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. কফিলউদ্দিন আসামি মামুনকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকাসহ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, মামুনুর হলি আর্টিজানে হামলার জন্য ৩৯ লাখ টাকা সরওয়ার জাহানের কাছে পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া এ হামলার অস্ত্র সরবরাহ করেন মামুনুর। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি হামলা ও খুনের ঘটনার অর্থ জোগানও দিয়েছিলেন মামুন। সংস্থাটি বলছে, পুনরায় জেএমবির সাংগঠনিক তৎপরতা চালানোর চেষ্টা ছিল জেএমবির এই শুরা সদস্যের।
আজ কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য দেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর কূটনীতিকপাড়া গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। এ নিয়ে মামলার পর এরই মধ্যে আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর দুই পলাতক আসামির একজন মামুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘মামুনের দায়িত্ব ছিল অস্ত্র এবং বিস্ফোরণ সরবরাহ করা। জেএমবির পুনর্গঠনে সে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিল। হলি আর্টিজান হামলার কিছুদিন আগে মামুনুর রশিদ গাইবান্ধার কোনো এক জায়গায় বাশারুজ্জামান চকলেট, তামিম চৌধুরী, ছোট মিজানসহ কয়েকজন জেএমবি নেতার সঙ্গে হামলার পরিকল্পনা করে এবং পাশের দেশ থেকে বিপুল অর্থ ও অস্ত্রের জোগান পেয়েছিল।’
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘হলি আর্টিজান হামলার ব্যয় নির্বাহের জন্য সরওয়ার জাহানকে সে ৩৯ লাখ টাকা প্রেরণ করে। মারজানের মাধ্যমে সরওয়ার জাহানের কাছে এই টাকা ও তিনটি একে-২২ রাইফেলসহ পিস্তল ও গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল। গাইবান্ধায় একটি মিটিং হয়, সেখান থেকেই হলি আর্টিজান হামলা করা হবে বলে ফিক্স করে তারা।’