‘ঘুমন্ত গৃহবধূ ও শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা’
ভোলার লালমোহন উপজেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় গৃহবধূ সুরমা (২৫) ও তাঁর ভাগনি খাদিজাকে (৮) পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন সুরমার বোন আংকুরা বেগম (৩৮)।
গত শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খারাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুরমা বোরহান উদ্দিন উপজেলার দেউলা গ্রামের রফিকের স্ত্রী ও নিহত খাদিজা আংকুরা বেগমের মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, ছয় মাস আগে সুরমার সঙ্গে বোরহান উদ্দিন উপজেলার দেউলা এলাকার রফিকের বিয়ে হয়। এটি ছিল রফিকের তৃতীয় বিয়ে। বিয়ের পর লালমোহনের কর্তারহাট এলাকায় ঘর ভাড়া করে থাকতেন রফিক ও সুরমা। তবে বিয়ের পর থেকেই রফিকের সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না সুরমার। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগে থাকত।
১০ দিন আগে স্ত্রী সুরমাকে রেখে চলে যান রফিক। এরপর বড় বোন আংকুরা বেগমের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন সুরমা। গত শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে এক বিছানায় সুরমা, আংকুরা ও তাঁর মেয়ে খাদিজা ঘুমিয়ে পড়ে।
ওই রাতেই মাটির ঘরের পেছনে সিঁদ কেটে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। ঘরে ঢুকেই লেপ-তোশকে আগুন ধরিয়ে দিলে আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলেই সুরমার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সুরমার বড় বোন আংকুরা ও শিশু খাদিজা আগুনে দগ্ধ হয়।
চিৎকার শুনে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে দুজনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার মৃত্যু হয় শিশু খাদিজার।
পারিবারিক কলহের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ভোলা জেলা পুলিশ সুপার মো. মোক্তার হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। তবে দুজন এডিশনাল এসপির নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।