ট্রলারডুবি : পাঁচদিনেও খোঁজ মেলেনি ২০ শ্রমিকের
পাঁচদিনেও সন্ধান মেলেনি মুন্সীগঞ্জের চরঝাঁপটার মেঘনা নদীতে তেলবাহী জাহাজের ধাক্কায় মাটিভর্তি ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ২০ শ্রমিকের। তাদের সন্ধানে চতুর্থদিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। নদীজুড়ে নৌবাহিনীর সদস্যরা জাহাজ দিয়ে রশি বেঁধ র্যাকি টেনে খোঁজ করছে নদীর তলদেশ। উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়, নৌযান শনাক্তকারী বিশেষ জাহাজ অগ্নিশাসকও রয়েছে উদ্ধার অভিযানে।
ট্রলারচালকের অনুপস্থিতি এবং ঘাতক তেলবাহী জাহাজটিকে শনাক্ত করা না যাওয়ায় ট্রলার ডুবির নির্দিষ্ট অবস্থানও নিশ্চিত করতে পারছে না উদ্ধারকারীরা।
জানা গেছে, সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ট্রলারে মাটি তুলে ৩৪ জন শ্রমিক নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার বক্তাবলী নিয়ে যাচ্ছিল। ট্রলারটি সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জের চরঝাঁপটার মেঘনা নদীতে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী জাহাজ ট্রলারে ধাক্কা দিয়ে চাঁদপুরের দিকে চলে যায়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা শ্রমিকদের মধ্যে ১৪ জন সাঁতরে প্রাণে বাঁচাতে পারলেও ট্রলারটির কেবিনের ভেতরে ঘুমন্ত ২০ শ্রমিকের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি। নিখোঁজ শ্রমিকদের বেশির ভাগেরই বাড়ি পাবনা জেলায়।
এদিকে, ঘটনা সোমবার দিবাগত রাতের হলেও ট্রলার ডুবির ঘটনাটি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসে বুধবার। গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদিক জানান, চতুর্থদিনের মতো শনিবার সকাল থেকে বিআইডব্লিউটিএ ও নৌবাহিনীর এক্সপার্ট টিম পুরো মেঘনা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তিনি আরো জানান, নির্দিষ্ট স্থান না জানায় পুরো মেঘনা নদী চষে বেড়ানো সম্ভব নয়। তারপর দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে খোঁজা হয়েছে। কিন্তু কোনো সন্ধান মেলেনি। এরজন্য ট্রলারচালককে আটক বা ঘটনাস্থলে উপস্থিতি দরকার।
এদিকে, শরীয়তপুরের শিবচর উপজেলার হাজি শুক্কুর হালদারকান্দির মৃত করিম বেপারীর ছেলে ট্রলারের চালক হাবিব বেপারী দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।
গজারিয়া থানার ওসি হারুন-উর-রশিদ জানান, বেআইনিভাবে বেপরোয়া গতিতে নৌযান চালিয়ে প্রাণহানি ও দুর্ঘটনা ঘটনানোর দায়ে শুক্রবার রাতে বেঁচে যাওয়া ট্রলারের যাত্রী শাহ আলম বাদী হয়ে ট্রলারচালক হাবিব বেপারী, ট্রলারের মালিক জাকির দেওয়ান ও তেলবাহী জাহাজের চালককে (অজ্ঞাতনামা) আসামি করে গজারিয়া থানায় একটি মামলা করেছেন।