রাজধানীর উত্তরার বাসা থেকে অভিনেতা তানভীর হাসান ওসমানী সুমনের (৪২) মৃতদেহ উদ্ধার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ। তিনি মঞ্চ, টিভিনাটকে অভিনয় ও পরিচালনা করতেন। বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করে আলোচনায় আসেন তানভীর।

শুক্রবার দুপুরের দিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর রোডের বাসা থেকে তানভীরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বিকেলে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

তানভীর হাসানের ভগ্নিপতি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, তানভীর স্ত্রী কোহিনূর নাহার আখন্দ ও ছেলে প্রখরকে (৬) নিয়ে উত্তরার ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। তানভীর অনেক দিন ধরেই মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। গত চার-পাঁচ বছর আগে কাজ ছেড়ে দেন তিনি। দেড় মাস আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। তারপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি।

তানভীর ঢাকা লিটল থিয়েটারের সদস্য ছিলেন। পরে তিনি নাট্যকেন্দ্রে যোগ দেন। নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি পরিচালনাও করেন। বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাতাও ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন তানভীর।

তানভীর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আনোয়ার উল্লাহর ছেলে।

উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুর রহিম জানান, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে তানভীর হাসানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এসআই আবদুর রহিম আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে সাড়ে ১২টা নাগাদ ঘুমাতে যান তানভীর। রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাজের মেয়ে ঘর পরিষ্কার করার জন্য ঘরের ভেতরে ঢুকলে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তানভীরকে। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়েই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। তবু বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শনিবার ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।