মাঠ পর্যায়ে গাফিলতি মেনে নেওয়া যাবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা দূর করতে ব্যর্থ হলে জেলা ও বিভাগীয় নেতৃত্বের ওপর তার দায় বর্তাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেছেন, হাসপাতাল বা জেলা ও বিভাগীয় নেতৃত্বে যে কর্মকর্তাই থাকবেন তাঁর দায়িত্ব হচ্ছে অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর তত্ত্বাবধান করা। এই দায়িত্বে কোনো গাফিলতি বা শৈথিল্য মেনে নেওয়া যাবে না। যেকোনো সমস্যার দ্রুত নিরসনের লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি তিনি তাতে ব্যর্থ হন তবে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার বাধ্য হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য মানসম্মত সেবা পৌঁছে দিতে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দেশের সব বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক, ৬৪ জেলার সিভিল সার্জন এবং বিভিন্ন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়েছে।
জাহিদ মালেক বলেন, মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর থেকে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে প্রতিদিনের নজরদারি আরো কঠোর করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সময় মতো হাজির হচ্ছে কি না, যন্ত্রপাতিগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, ওষুধের অপ্রতুলতা আছে কি না, পরিচ্ছন্নতা অভিযান সার্বক্ষণিক চলছে কি না, তা তদারকির জন্য মনিটরিং নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মূল অবদান মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। সারা দেশে বিস্তৃত স্বাস্থ্য খাতের এই সেবা পেয়ে থাকে কোটি কোটি মানুষ। একটা সরকারের সুনাম অনেকাংশে নির্ভর করে স্বাস্থ্য সেবার ওপর। সাধারণ মানুষকে যথাযথ মানসম্মত চিকিৎসা দিয়ে স্বাস্থ্য খাতের প্রতি গণমানুষের আস্থা আরো বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপকদের প্রতি মন্ত্রী নির্দেশ দেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক, জেলার সিভিল সার্জন ও জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কগণ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসক আছে কি না, তা দেখার পাশাপাশি রোগীরা তাদের প্রাপ্য সেবা যথাযথভাবে পাচ্ছে কি না, তাও তদারকি করার মূল ব্যক্তি হাসপাতাল প্রধান বা সিভিল সার্জন ও পরিচালকগণ। সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে এই দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।