টিআইবির প্রতিবেদন গ্রহণযোগ্য নয়, পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করি : সিইসি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রতিবেদন পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে টিআইবির করা মন্তব্য অসৌজন্যমূলক।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে নবনিযুক্ত কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ সমাপনীর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন সিইসি। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রপদে উপ-নির্বাচনের বিরুদ্ধে করা রিট খারিজ হয়ে যাওয়ায় শিগগিরই এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সিইসি।
৫০টি সংসদীয় আসন নিয়ে গবেষণা করে মঙ্গলবার টিআইবি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, এর মধ্যে ৪১টি আসনে জাল ভোট এবং ৩৩টি আসনে আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার তথ্য পাওয়া গেছে। টিআইবি এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত বলে অভিহিত করে।
এ বিষয়ে বুধবার সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, টিআইবির প্রতিবেদন কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করি, এগুলো ঠিক রিপোর্ট না। নির্বাচনের দিনে যে তথ্যউপাত্ত পেয়েছি, পত্রপত্রিকায় যে তথ্যউপাত্ত পেয়েছি তাতে এ রকম কোনো রকমের কোনো অভিযোগ পাইনি। এ রকম কোনো জায়গায় কোনো অভিযোগ করেনি।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কে এম নূরুল হুদা বলেন, আপনারা পত্রপত্রিকায় এমন কোনো তথ্য দেননি, যা তারা (টিআইবি) বলছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা বিষয়ে টিআইবির পক্ষ থেকে যে মন্তব্য করা হয়েছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়। গণমাধ্যম, ইলেকট্রনিক ইনকোয়ারি কমিটি, নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যে রকম বলেছেন তাতে এই রিপোর্টের সত্যতা নেই।
নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে টিআইবির তোলা প্রশ্নের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সিইসি বলেন, এগুলো অসৌজন্যমূলক, এগুলো টিআইবির বলা ঠিক হয়নি।
এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের পদে উপনির্বাচনের যে স্থগিতাদেশ ছিলো সেই রিট খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চ আদালত। বুধবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদউল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের এই আদেশের ফলে মেয়র পদে উপনির্বাচনে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এ বিষয়ে সিইসি জানান, স্থগিতাদেশ না থাকলে শিগগিরই ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে উপনির্বাচন করা হবে।