সংলাপ নয়, শুভেচ্ছা বিনিময় : ওবায়দুল কাদের
সংলাপের জন্য নয়, নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য সব দলগুলোকে প্রধানমন্ত্রী আবারও গণভবনে ডাকবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সরকারের মধ্যে দল যেন হারিয়ে না যায় সেজন্য সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর করতেও তাগিদ দেন সেতুমন্ত্রী।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল বিজয় উপলক্ষে ১৯ জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিজয় সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। আর তা সফল করতেই সোমবার বিকালে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজন করে এই বর্ধিত সভা। যেখানে সমাবেশের দিন নেতা-কর্মীরা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন সে বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগড়ের নেতারা। আর দলের সাধারন সম্পাদকের বক্তব্যে উঠে আসে সাম্প্রতিক রাজনীতির নানা প্রসঙ্গ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো কোনো মিডিয়ায় দেখছি যে একটা সংলাপ হতে যাচ্ছে! আবারও একটা সংলাপ! এখন কেন সংলাপ? সংলাপ নয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা গণভবনে আমন্ত্রণ জানাতে চান নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য।’
পাশাপাশি নির্বাচনে এত বড় বিজয়ের পর, অন্ত:কোন্দল দূর করে দলকে সংগঠিত করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের মধ্যে দলটা যেন হারিয়ে না যায়। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ বিজয় যদি আপনারা চান তাহলে ভেতরের দূর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পারি না। আমরাও জানি আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যা আছে। এ সমস্যাগুলো অনতিক্রম্য নয়। এগুলো অতিক্রম করা যায়।’
যে জনগন ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকারে বসিয়েছে তাদের সাথে কখনোই ক্ষমতার দাপট না দেখিয়ে বিনয়ী হবারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন।
সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর উপস্থিত ছিলেন।