হুইলচেয়ারে করে আদালতে খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এ শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মুলতবি রেখেছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি খালেদা জিয়া গত দিনের শুনানির মতোই আজকেও হুইলচেয়ারে করে আদালতে হাজির হন। তাঁর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
দুপুর ১২টার কিছু পরে আদালতে আসেন খালেদা জিয়া। তিনি আজ বেগুনি শাড়ি পরেছিলেন। আর তাঁর পা ঢাকা ছিল সাদা একটি কাপড়ে। খালেদা জিয়া আদালতে আসার কিছু পরই বিচারক শুনানি শুরু করেন। দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত শুনানি চলে। এরপর খালেদা জিয়াকে পুনরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম নাইকো মামলাটি করেন।
পরে ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।
অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।