নবজাতকের বাবার খোঁজ মেলেনি, দত্তক নিতে চান পাঁচজন
নড়াইল সদর উপজেলার শেখহাটি ইউনিয়নের হাতিয়াড়া গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী কুমারী সীমা (২২) এক ফুটফুটে কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন। সীমা তাঁর নবজাতক সন্তান নিয়ে নড়াইল সদর হাসপাতলে ভর্তি রয়েছেন।
নবজাতকের বাবার পরিচয় না জানা গেলেও মানসিক প্রতিবন্ধী ওই নারীর মেয়েটিকে দত্তক নিতে আবেদন করেছেন পাঁচজন।
আজ শুক্রবার দুপুরে সদর হাসপাতালে সন্তানের জন্ম দেন সীমা। এ খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন হাসপাতালে গিয়ে নবজাতক ও তার মায়ের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
সদর হাসপাতল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে হাতিয়াড়া গ্রাম থেকে এক নারী হাসপাতালে সীমাকে ভর্তি করে রেখে চলে যান। দুপুরের দিকে সীমার কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়।
শেখহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাঠক জানান, সীমার মামা বাড়ি হাতিয়াড়া গ্রামে। শিশু অবস্থায় তাঁর মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর মামা বিনয় বৈরাগীর বাড়িতে থাকলেও বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক প্রতিবন্ধী সীমা এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ান এবং রাত যাপন করেন।
এই আওয়ামী লীগ নেতা জানান, সন্তান জন্ম দেওয়ার পর বিনয় বৈরাগী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা সীমাকে চেনেন না।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, নবজাতক ও তাঁর মায়ের সার্বিক অবস্থার খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। এক পুলিশ সদস্য সীমাকে এক ব্যাগ রক্তও দিয়েছেন। নবজাতকের এখনও পিতৃপরিচয় জানা যায়নি।
জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরা বলেন, সমাজসেবা কার্যালয়, পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সীমার কোনো আত্মীয় যদি নবজাতকের দায়িত্ব নেয়, ভালো। না হলে আইনগতভাবে যদি কেউ দত্তক নিতে চায় তাহলে সেটা বিবেচনা করা হবে।
এরই মধ্যে নবজাতককে দত্তক নেওয়ার জন্য পাঁচজন আবেদনও করেছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক আঞ্জুমান আরা।