ভূমিমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে রানওয়েতে নেতাকর্মীরা
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদকে স্বাগত জানাতে নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরের রানওয়ে পর্যন্ত চলে যান। এ সময় ভূমিমন্ত্রী নিষেধ করলেও তা মানেননি নেতাকর্মীরা।
ভূমিমন্ত্রীকে বহনকারী বেসরকারি রিজেন্ট এয়ারের বিমানটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পার্কিং করার পরপরই নেতাকর্মীরা রানওয়েতে গিয়ে তাঁদের নেতাকে স্বাগত জানান। একই ফ্লাইটে সরকারের নবনিযুক্ত আরেক মন্ত্রীও ছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুরকে নিতে বান্দরবান থেকে সাতজন নেতাকর্মী আসেন।
দুপুরের পর থেকে ভূমিমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী বিমানবন্দরে জড়ো হন। এর মধ্যে কয়েক দফা নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে শতাধিক নেতাকর্মী রানওয়েতে চলে যান। মন্ত্রীর গাড়ি বিমান বন্দরের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নেতাকর্মীরা তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন। ভূমিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নেতাকর্মীরা।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন ও বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সরওয়ার ই জাহান নতুন মন্ত্রীকে স্বাগত জানান। এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও কৃষকলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপক সরওয়ার ই জাহান জানান, রিজেন্ট এয়ার পার্কিং করার পর কিছু সিলেকটিভ লোকজন গেছেন। এর মধ্যে জেলা প্রশাসক ও তিনি নিজেও ছিলেন। নেতাকর্মীদের ঢল থামাতে তাঁরা চেষ্টার ত্রুটি করেননি।
চট্টগ্রামে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, কোনো ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে তিনি মন্ত্রণালয়ে থেকে যাবেন না। এ সময় দুর্নীতির ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স, ভূমি মন্ত্রণালয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেন তিনি।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ে যারা আছেন, তাদের সবাইকে নিয়ে ইনশা আল্লাহ আমি আমার এই মন্ত্রণালয়কে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাব।