‘আন্দোলনে যারা ব্যর্থ তারা নির্বাচনে জিততে পারে না’
আন্দোলনে যারা ব্যর্থ হয় নির্বাচনে তারা কখনো জিততে পারেনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা, মনোনয়ন বাণিজ্য ও যুদ্ধপরাধীদের মনোনয়ন দেওয়াই বিএনপির নির্বাচনে হারার কারণ।’
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বছর বছর দিনটিকে পালন করা হয় বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশকে গভীরভাবে ভালবেসেছিলেন বলেই মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশকে স্বল্পন্নোত দেশে উন্নীত করেছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলের প্রথম কোন জনসমাবেশ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে সেই প্রসঙ্গও।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা যদি ২০১৮ এর নির্বাচন আর ২০০৮ এর নির্বাচন তুলনা করেন, ২০০৮ এ কিন্তু ভোট পড়েছিল আরো অনেক বেশি। প্রায় ৮৬ ভাগ ভোট পড়েছিল।’
এ সময় আওয়ামী লীগের বিপুল ভোটে বিজয় ও বিএনপির হারের কারনও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলন যাদের ব্যর্থ হয় নির্বাচনে তারা কখনো জয়ী হতে পারে না। এটা বাস্তবতা।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ নির্বাচনে বিএনপির ব্যর্থতার কারণটা কী? আমরা যদি ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ এর ঘটনা ধরি প্রায় পাঁচশোর কাছাকাছি মানুষ আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছে।
যারা নমিনেশন নিয়ে এ ধরনের ট্রেড করেছে বা অকশনে দিয়েছে তারা কী করে আশা করে যে জয়ী হবে?’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘উচ্চ আদালত থেকে একটি দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে; জামায়াতে ইসলামী। সে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ জনই নমিনেশন পেয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। তারা যুদ্ধাপরাধীদের কখনো ভোট দেবে না। ভোট তারা দিতে চায়ও না। তারা দেয়নি।’
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে মানুষের জীবনে শান্তি নিশ্চিত করা ও উন্নত দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করেছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মাত্র ১০ বছরের মধ্যে যদি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা উন্নত করতে পারি, তাহলে অতীতে যারা ২৮ বছর ক্ষমতায় ছিল তারা কেন পারেনি। এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। তার কারণ একটাই। তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেনি।’
আবারো আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করায় সাধারন জনগনসহ সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী পাঁচ বছর আমাদের জন্য কঠিন পরীক্ষা। উন্নয়নের মহাসড়কে যে যাত্রা শুরু করেছি এটা আমাদের অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।’