শুষ্ক মৌসুমেও ফুলজোড় নদীতে ভাঙন
শুষ্ক মৌসুমেও সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফুলজোড় নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। নদীভাঙনে এরই মধ্যে অন্তত ১৫টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে উপজেলার অর্ধশতাধিক পরিবার। অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন অন্য জায়গায়।
আজ বৃহস্পতিবার জানা যায়, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফুলজোড় নদী খনন ও নদীর ২৩টি পয়েন্টে ব্লক দিয়ে বেঁধে দেওয়ার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। একনেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের ফুলজোড় নদীর তিয়রহাটি, আমডাঙ্গা ও নূরনগর গ্রামে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়। গত ১৫ দিনে অন্তত ১৫টি বসতভিটা ও বেশ কয়েক বিঘা কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের তীব্রতা আরো বাড়তে শুরু করেছে। এখন ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে এ অঞ্চলের দরিদ্র কৃষিজীবী মানুষগুলোর।
আমডাঙ্গা গ্রামের আবদুল জলিল জানান, বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর নদীভাঙন হয়। কিন্তু এবার শুষ্ক মৌসুমে নদী ভাঙছে। বসতভিটা ও কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম নান্নু জানান, নদীতে পানি কমলেও ভাঙন রয়েছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘গাইবান্ধা থেকে সিরাজগঞ্জ হয়ে ফুলজোড় নদীর ২১৭ কিলোমিটার খননের জন্য ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থেকে শাহজাদপুর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। এই ১৫ কিলোমিটারের ২৩টি পয়েন্টে ব্লক দিয়ে বেঁধে দেওয়া হবে। চলতি বর্ষা মৌসুমের আগেই কাজ শুরু হবে। তখন আর নদীতে ভাঙন থাকবে না।’