মামা-ভাগ্নের ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ যুবক নিহত, গুলিবিদ্ধ ১২
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় মামা ও ভাগ্নের দুই পক্ষের মধ্যে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ কফিল উদ্দিন (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ১২ জন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বিলাছুরা গ্রামে চিংড়ি ঘের দখল নিয়ে এ বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ১২ জনের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং দুজনকে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রকিব জানান, আজ সকালে বিলাছুরা গ্রামে চিংড়িঘেরের দখল নিয়ে পেকুয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজম খান পক্ষ ও তার ভাগিনা পেকুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি কাইছার পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে আজম খানের ভাতিজা কফিল উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।
বন্দুকযুদ্ধ চলার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে অর্ধশতাধিক গুলিবিনিময় হয়েছে বলেও জানান ওসি।
ওসি আরো জানান, নিহতের লাশ সুরতহাল করে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ বিষয়ে অস্ত্র ও হত্যা মামলার দায়ের করা হবে। এ ছাড়া দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।