সাংবাদিক গৌতম হত্যা, যাবজ্জীবনপ্রাপ্তদের আপিলের রায় চলতি মাসে
সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলার আপিল আবেদনের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ৩০ জানুয়ারি রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীব সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার শুনানি শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
ওই মামলায় ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
মামলার দশ আসামির মধ্যে একজন আগেই মারা যান। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন, আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, রাজিব হোসেন মনা, আসাদ বিন কাদির, আবু তাহের মো. মোস্তফা ওরফে অ্যাপোল বিশ্বাস ও তামজিদ হোসেন বাবু। রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
আদালতে দুই আসামি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া ও আবু তাহের মো. মোস্তফা ওরফে অ্যাপোলো বিশ্বাসের পক্ষে আইনজীবী হেলালউদ্দিন মোল্লা, এক আসামি তানজীর হোসেন বাবুর পক্ষে আইনজীবী আওলাদ হোসেন, চার আসামি আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কামরুল ইসলাম আপন ও রাজীব হাসান মনার পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ আলী মোকাররম, আসাদ বিন কাদিরের পক্ষে আইনজীবী মো. আব্দুর রশীদ ও ওমর ফারক এবং আসামি কাজী মুরাদের পক্ষে আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম শুনানি করেন। রাস্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন-অর রশীদ।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে ফৌজদারি আপিল দায়ের করেন। উভয়পক্ষের আপিল আবেদনের ওপর দীর্ঘ শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের পুনঃনির্মাণ কাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ পরিবেশন করায় সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতম দাসের ওপর ক্ষুব্ধ হয় সন্ত্রাসীচক্র। ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ভোরে চিহিত সন্ত্রাসীরা সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো অফিসে ঢুকে সাংবাদিক গৌতমকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ওইদিনই সমকালের পক্ষে বাদি হয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধি হাসানউজ্জামান।
মামলার একজন আসামি জাহিদ ২০০৬ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যাকাণ্ডের দুইমাস পর ২০০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি ফরিদপুরের আদালতে ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম নবী।