আশুগঞ্জে সাংসদ প্রার্থীর গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা, আহত ৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিনের মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়েছে ধানবোঝাই একটি ট্রাক। এতে প্রার্থীর সাত কর্মী আহত হয়েছেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন সুস্থ রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসেন সরকার জানান, দুপুর ১টার দিকে মঈন উদ্দিন তাঁর গ্রামের বাড়ি আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর থেকে কর্মীদের সঙ্গে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলা সদরে যাচ্ছিলেন। পথে সোনারামপুর এলাকায় গাড়ি থামিয়ে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। হঠাৎ ধানবোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে মঈন উদ্দিনের মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। এতে মঈন উদ্দিনের মাইক্রোবাসটি সামনে থাকা কর্মী-সমর্থকদের মোটরসাইকেলগুলোকে ধাক্কা দেয়। মোটরসাইকেল বহরে থাকা হৃদয় (১৮), হেবজু (২০), হাফিজ (২২), কাপ্তান (১৩), আব্দুল জব্বার (২৫) ও আজিজুর রহমানসহ (২৪) সাতজন আহত হন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হাফিজ ও কাপ্তানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মঈন উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে আমার তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু যারা আহত হয়েছে তাদের উদ্ধার করে আশুগঞ্জ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন এ ঘটনায় ট্রাকচালককে আটক করে তাঁর কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
গোলযোগ ও অনিয়মের কারণে গত ৩০ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ৮২ হাজার ৭২৩ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তাঁর নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন কলার ছড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৫৬৪ ভোট। ওই তিন কেন্দ্রে মোট ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৪। প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ১০ হাজার ১৫৯টি।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্ধ করে দেওয়া তিনটি কেন্দ্রে আগামীকাল বুধবার নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এতে কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মঈন উদ্দিন। স্থগিত তিনটি কেন্দ্র হচ্ছে- যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।