নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনের রাতে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এদিকে গণধর্ষণের মামলাটি আজ রোববার বিকেলে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

গণধর্ষণ মামলার ৯ নম্বর আসামি সালাউদ্দিনকে আজ সকালে ফেনীর সুলতানপুর, বিকেলে নোয়াখালীর চরজব্বার থানাধীন হারিজ চৌধুরী বাজারের আট কোপালিয়া থেকে আবুল হোসেনকে ও সেনবাগ থানাধীন ছাতারপাইয়া থেকে মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানা ও ডিবি পুলিশ।

এ দিকে আগেই গ্রেপ্তার হওয়া সাতজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ গ্রেপ্তার হওয়া সালাউদ্দিন, আবুল হোসেন ও মুরাদের বিষয়ে আগামীকাল সোমবার আদালতে রিমান্ড চাইবেন বলে জানিয়েছেন ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা।

গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলাটি চরজব্বার থানা পুলিশ তদন্ত করে আসছিল। আজ মামলাটি ডিবি পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া ১০ জনের মধ্যে ছয়জন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। বাকি চারজনকে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের স্বীকারোক্তি মতে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে তাদের সামনে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ এবং নির্যাতন করা হয়। পরের দিন সকালে ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয় লোকজন। এই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী নয়জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।