তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা ৭.৯, মৌলভীবাজারে ৮
আজ রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। তেঁতুলিয়ায় আজকের তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে, চলমান শৈত্যপ্রবাহে দুর্ভোগ নেমে এসেছে মৌলভীবাজারেও। মৌলভীবাজারে আজ সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া কার্যালয়।
এদিকে, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে মৌলভীবাজারে তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। জেলার ওপর দিয়ে গত কয়েক দিন থেকে বইছে মাঝারি ধরনের শৈতপ্রবাহ।
আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরো কমে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া সহকারী মো. জাহেদুল ইসলাম মাসুম। মাসুম বলেন, ‘দিন দিন তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ পড়ছে এই অঞ্চলে। আগামী সপ্তাহ থেকে শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে এবং শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।’
তীব্র শীতে মৌলভীবাজারের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বাড়ছে। যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে সর্দি-কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি।
দিনের বেলা সূর্যের তাপে তেমন শীত অনুভূত না হলেও, সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। রাত যতই গভীর হয় শীত ততই বাড়তে থাকে।
তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। বিশেষ করে চা বাগান অধ্যুষিত উপজেলার চা বাগানগুলোতে এবং গ্রামগুলোতে শীতের তীব্রতা খুব বেশি।
জেলার বাইক্কাবিল, হাইল হাওর, হাকালুকি হাওর ও কাউয়াদীঘি হাওর আর অন্যদিকে চা বাগান ও পাহাড়। সবমিলিয়ে এখানকার নিম্ন আয়ের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্য, চা শ্রমিক ও হাওরপারের জেলেরা শীতে কাবু হয়ে গেছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে।
এই অবস্থায় একদিকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শীতার্তরা, অন্যদিকে ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছে জেলার হাজারো মানুষ।