গাজীপুরে বস্ত্রশ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় এক বস্ত্রশ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার এই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের নাম জান্নাতুল আক্তার (১৮)। তাঁর গলা ও হাত-পায়ের রগ কাটা ছিল। এ ছাড়া মুখমণ্ডলও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। মরদেহের পাশ থেকে একটি রক্তাক্ত ব্লেড উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, নিহত জান্নাতুল ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিবরবাড়ী ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।
বাবা আবুল হোসেন জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে আল-আমিনের সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল জান্নাতুলের। প্রায় এক বছর আগে নিজেদের প্রথম সংসার ফেলে বিয়ে করেন দুজনে। বিয়ের পর আল-আমিন জান্নাতুলকে নিয়ে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় ভাড়া থাকতেন। চাকরি করতেন স্থানীয় বাদশা টেক্সটাইল কারখানায়।
গত ৩০ ডিসেম্বর রোববার নির্বাচনের ছুটিতে জান্নাত তাঁর বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। পরের দিন সোমবার স্বামীর ফোন পেয়ে জান্নাত সেখান থেকে তাঁদের ভাড়া বাসার উদ্দেশে রওনা হন। এরপর থেকেই জান্নাতের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি স্বজনরা।
আজ রোববার সকালে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের যোগীরছিট এলাকার কৃষক মোস্তফা তাঁর বেগুন ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে বাবা আবুল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন।
পরে শ্রীপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল সাকিব বলেন, ‘নিহতের মুখমণ্ডল শিয়াল কুকুরে ক্ষত বিক্ষত করে খেয়ে ফেলেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা রাতে গলা ও হাত-পায়ের রগ কেটে ওই নারীকে হত্যার পর লাশ ওই বেগুন ক্ষেতে ফেলে রাখে। লাশের পাশ থেকে রক্ত মাখা একটি ব্লেড উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী আল-আমিন পলাতক রয়েছেন।’