ময়মনসিংহে সৈয়দ আশরাফের জানাজায় মানুষের ঢল
ময়মনসিংহে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ রোববার দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রীয় আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে জানাজার পড়ান ঈদগাহ মাঠ মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন। এ সময় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষসহ হাজারো মানুষের ঢল নামে।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে অবতরণ করে। পরে হেলিকপ্টার থেকে মরদেহ আনা হয় কেন্দ্রীয় আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে। সেখানে প্রথমে পুলিশের একটি দল তাঁকে গার্ড অব অনার দেয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় তাঁর জানাজা।
জানাজা শেষে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় সার্কিট হাউজ মাঠে। পরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হয়।
এর আগে ঈদগাহ মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় শোক জানিয়ে কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক খোকা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান, সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ইকরামুল হক টিটু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় পার্টির মহানগর সভাপতি জাহাঙ্গীর আহাম্মেদ ও আশপাশের জেলার আওয়ামী লীগ নেতারা।
গত ৩ জানুয়ারি রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি এক মেয়ে, বহু রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী ও নেতাকর্মী রেখে গেছেন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহ বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। কফিনে মোড়ানো মরদেহ গ্রহণ করেন তাঁর ছোট ভাই সাফায়েত উল ইসলাম। এ সময় বরেণ্য এই রাজনীতিবিদকে দেখার জন্য বিমানবন্দরে ভিড় করেন তাঁর দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী ও আত্মীয়স্বজন। তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। প্রিয় এই নেতার শোকে এ সময় হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।