শ্রদ্ধা ভালোবাসায় স্যামসন এইচ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
পাবনায় নানা আয়োজনে দেশ বরেণ্য শিল্পপতি স্কয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনা শহরের বৈকণ্ঠপুরের অ্যাস্ট্রাস খামার বাড়িতে অনুষ্ঠিত বিশেষ প্রার্থনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ফেলোশিপের উপদেষ্টা ডেভিড প্রণব দাসের পরিচালনায় স্মরণসভায় স্যামসন এইচ চৌধুরীর জীবনের ওপর স্মৃতিচারণ ও পবিত্র বাইবেল থেকে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ফেলোশিপের উপদেষ্টা ডেনিস দিলীপ দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক লিয়র পি সরকার। পরিবারের পক্ষ থেকে স্মৃতিচারণ করেন প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর মেজ ছেলে স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী। বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ফেলোশিপের কোষাধ্যক্ষ স্যামুয়েল আশিষ বিশ্বাস অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের যাজক ইসহাক সরকারের প্রার্থনার মধ্যদিয়ে শেষ হয় স্মরণসভা।
পাবনা শহরের অ্যাস্ট্রাস খামার বাড়িতে স্যামসন এইচ চৌধুরীর স্মরণসভায় আজ শনিবার বক্তব্য দেন মেজ ছেলে তপন চৌধুরী। ছবি : এনটিভি
এ সময় প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর স্ত্রী অনিতা চৌধুরী, বড় ছেলে স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস চৌধুরী, মেয়ে স্কয়ার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান রত্না পাত্র, মেজ ছেলে স্কয়ার ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা তপন চৌধুরী, ছোট ছেলে স্কয়ার টয়লেট্রিজ ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলামসহ প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর পরিবারের সব সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী স্যামসন এইচ চৌধুরী ১৯২৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার কাশিয়ানি থানাধীন আড়ুয়াকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ছিলেন ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী। স্যামসন চৌধুরী ভারতে পড়াশুনা শেষ করে ১৯৫২ সালে পাবনার আতাইকুলায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁর বাবা ছিলেন একটি ফার্মেসির মেডিকেল অফিসার। ১৯৫৮ সালে চার বন্ধু মিলে আতাইকুলায় গড়ে তোলেন স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালস।
২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে পরলোকগমন করেন স্যামসন এইচ চৌধুরী। পাবনা শহরের কাশীপুরে তাঁর বাসবভন অ্যাস্ট্রাসে তাঁকে সমাহিত করা হয়।