আ.লীগের শক্তিশালী ঐক্যের কারণেই এই বিশাল জয় : কাদের
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে শক্তিশালী ঐক্যের কারণে নির্বাচনে বিশাল জয় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে সহযোগী সংগঠনের যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের এই কথা বলেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। এই বিজয় উদযাপনের জন্য আগামী ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। মহাসমাবেশের প্রস্তুতি নিতেই এ যৌথসভা আয়োজন করা হয়।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকার আসনগুলো থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনে বিশাল জয়ের জন্য দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের দল স্মরণকালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঐক্য, টিম স্পিরিট ও ইউনিটি প্রদর্শন করতে পেরেছে। সেজন্য আমরা একটি মহা বিজয় অর্জন করতে পেরেছি। দলের যেসব ইউনিটে দীর্ঘদিন ধরে অনৈক্য ছিল এই নির্বাচনে সেগুলোতে সবার আগে ঐক্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’
আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপির একমাত্র অবলম্বন বিদেশিদের কাছে নালিশ করা বলেও মন্তব্য করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ। এখন নালিশ করা ছাড়া তাদের অবলম্বন কী আছে? দেশের লোকের কাছে তো অনেক বলেছে, এখন বিদেশিদের কাছে তারা নালিশ করে যাচ্ছে। এটা তাদের পুরোনো অভ্যাস।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল যেসব কথাবার্তা বলছেন, তা হলো নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ রাজনীতিকের অসংলগ্ন সংলাপ।
বৈঠকের শুরুতে প্রয়াত আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সৈয়দ আশরাফের স্মৃতিচারণা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সৈয়দ আশরাফ ছিলেন একজন সৎ, পরিচ্ছন্ন, সফল রাজনীতিক। তিনি তাঁর সততা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও মেধা দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের বাইরেও অন্য রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে স্থান করে নিয়েছিলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বি এম মোজাম্মেল হক ও এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।