‘বিয়ের কথা বলে আটকে রেখে ধর্ষণ’, আত্মহত্যার চেষ্টা
মানিকগঞ্জে বিয়ে করার কথা বলে আটকে রেখে এক নারীকে (২৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গতকাল শুক্রবার তাঁকে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
ওই নারীর অভিযোগ, গত ২ জানুয়ারি বুধবার রাত থেকে রাজধানীর ধামরাই উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকায় এক বাড়িতে আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করেন রাশেদ বেপারী (২৮)। রাশেদ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার গঙ্গাসাগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি শ্রীরামপুর পাল পেপার মিলের নিরাপত্তাকর্মী। ওই নারী শিবালয় উপজেলার পাচুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ওই নারীর বড় বোন জানান, ছোট বোনের সঙ্গে তাঁর স্বামীর ডিভোর্স হয়। তাঁর ছয় বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। বিদেশে থাকতেন তিনি। দেশে ফেরার পর রাশেদ বেপারীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রাশেদ চাকরির জন্য ধামরাই উপজেলার শ্রীরামপুরের এক বাসায় থাকতেন।
এরই মধ্যে ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন রাশেদ। গত বুধবার রাতে তাঁকে শ্রীরামপুর এলাকার একটি বাসায় নিয়ে যান রাশেদ। সেখানে আটকে রেখে তাঁকে ধষর্ণ করেন তিনি। গতকাল সকালে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ওই নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
পরে রাশেদ নিজেই ওই নারীকে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনদের খবর দেন। স্বজনরা হাসপাতালে গেলে রাশেদ পালিয়ে যান। পরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলে এ ঘটনা সম্পর্কে তাঁর স্বজনদের জানান ওই নারী। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওই নারীর বড় বোন।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লুৎফর রহমান জানান, হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্ট্রারে ওই নারীর স্বামীর নাম লেখা রয়েছে
রাশেদ। আবার বলা হচ্ছে রাশেদ ওই নারীকে ধষর্ণ করেছেন। সেজন্য টিম গঠন করে ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষা করানো হবে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মানিকগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হানিফ সরকার জানান, ঘটনাস্থলটি ধামরাই থানার অধীনে। তাই ওই নারীর পরিবার অভিযোগ করলে ধামরাই থানায় করতে হবে। তারপরও বিষয়টি দেখা হচ্ছে।