গাজীপুরে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ৬
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ বাজারে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করেছে।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও কাওরাইদ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান হারুন ফকিরের নেতৃত্বে সোমবার দুপুরের দিকে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩২ জনের একদল যুবক কাওরাইদ বাজার এলাকায় মহড়া দেয়। এ সময় তারা কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর তারা বাজারের জাহিদ হোসেনের চায়ের দোকানে ও আমার বড়ভাই সুলতান উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে ছাত্রলীগনেতা রনির সঙ্গে হামলাকারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হামলায় ও মারধরে যুবলীগ নেতা নূরে আলম, কাওরাইদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জুলহাস উদ্দিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন ও ছাত্রলীগ নেতা রনিসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত নূরে আলমকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জুলহাস উদ্দিনকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে হারুন ফকির ও আহত রনিসহ উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর কাওরাইদ বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচনের আগে রনিকে বাজারে যেতে নিষেধ করেন সেতু ফকির। সোমবার দুপুরে রনিকে বাজারে দেখতে পেয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ড হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় রনিসহ উভয়পক্ষের ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। বাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।