দুর্গম পাহাড় থেকে হেলিকপ্টারে এনেও হাসি ফোটানো গেল না
পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে চট্টগ্রাম শহরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনার পরও প্রসূতি মা সোনাপুতি চাকমার মুখে হাসি ফোটানো গেল না।
আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে অস্ত্রোপাচার করে মৃত সন্তান প্রসব করেন সোনাপুতি চাকমা। এর আগে সকালে তাঁকে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে রাঙামাটির জুড়াছড়ি উপজেলার দুমদুম্যা ইউনিয়নের দুর্গম বগাখালী এলাকা থেকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে আনা হয়। সাধারণত ওই এলাকা থেকে সড়কপথে চট্টগ্রাম শহরে আসতে কয়েকদিন লেগে যায়। সেখানে আধা ঘণ্টার যাত্রায় হেলিকপ্টার থেকে অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে সিএমএইচে আনা হয় প্রসব বেদনায় কাতর সোনাপুতি চাকমাকে।
দুমদুম্যা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শান্তিরাজ চাকমা বলেন, দেশের মধ্যে জুড়াছড়ি উপজেলা সবচেয়ে বেশি দুর্গম। এ ছাড়া এটি মিয়ানমার ও ভারত সীমান্তবর্তী হওয়ায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা কম। প্রসব বেদনায় রোগীর মারাত্মক সমস্যায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বিজিবি সদস্যদের সহযোগিতায় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিএমএইচে নেওয়া হয়েছে।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসক কর্নেল করিম জানান, হাসপাতালে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে সোনাপুতি চাকমাকে বাঁচানো গেছে। তবে তাঁর অনাগত সন্তান সোনাপুতির মুখ দেখেনি।
সোনাপুতি চাকমার দাদি নাগরি চাকমা জানান, সোনাপুতির প্রসব বেদনা ওঠার পর অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেনাবাহিনী হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে আসায় আমরা খুশি হয়েছি।
এর আগে জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় চাথুইমা মারমার বিকল হতে যাওয়া পায়ের সাত মাস চিকিৎসাসেবা প্রদান করে সেনাবাহিনী।