নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ইসি ভবন
আজ রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটকে কেন্দ্র করে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবন নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। গ্রহণ করা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ইসি ভবনের চারপাশসহ ভবনের ভেতরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিসসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ভবনে ঢুকতে হলে সাংবাদিকসহ সবাইকেই তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। এ ছাড়াও ভবন সংশ্লিষ্ট চারপাশের সব পথের মাথায় মাথায় নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনের পাশ দিয়ে শনিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনের দিকে হেঁটে আসছিলেন আসলাম মোল্লা। তাঁর পিঠে ছিলো একটি ব্যাগ। বিজিবির সদস্যরা তাঁকে তল্লাশি করে ভেতরের রাস্তায় আসতে দেন। অপরদিকে নির্বাচন ভবন থেকে বের হয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা যাচ্ছিলেন আগারগাঁওয়ের স্টাফ কোয়ার্টারের দিকে। তাদেরকে সেনা সদস্যরা যেতে না দিয়ে সোজা রাস্তা অর্থাৎ আইডিবি ভবনের রাস্তা দিয়ে যেতে বলেন।
তাদের মধ্যে একজন জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের (এনআইডি) শাহানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘স্টাফ কোয়ার্টারের দিকে সেনাবাহিনী আমাদেরকে যেতে দেয়নি। নির্বাচন কমিশনের কার্ড দেখানোর পরেও যেতে দেয়নি। তারা বললেন, এসব দেখিয়ে লাভ নেই। তারা নির্দেশনা ফলো করছেন। এরপর আমরা হাসি মনে চলে এসেছি। এটা খারাপ না। আমাদের নিরাপত্তার জন্যই তো তারা এভাবে অবস্থান নিয়েছেন।’
ইসি ভবনের ভেতরে ঢুকতে হলেও তল্লাশির ভেতর দিয়ে ঢুকতে হচ্ছে সাংবাদিকসহ কর্মকর্তাদের। শুধু তাই নয়, ভবনের পেছন দিক দিয়ে আসতে কিংবা যেতে হলেও পড়তে হচ্ছে তল্লাশির মধ্যে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ভবনের নিরাপত্তা খুবই জরুরি। শুক্রবার ভবনে শুনেছিলাম, আমাদের কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভবন উড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। যদিও এগুলো সব ভুয়া, কিছুই হবে না। তারপরও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কমিশনার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিক) নির্বাচন ভবনে খবর সংগ্রহে থাকবেন এবং সব দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান করবেন। এ ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাসহ অনেক দেশি-বিদেশি গণ্যমান্য মানুষ থাকবেন। সবার কথা বিবেচনা করেই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা।’
কয়েকদিন ধরে নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে নির্বাচন বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়েছে।