সিলেটে বিএনপি প্রার্থীর কার্যালয় থেকে ৬ জন আটক
সিলেট-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদিরের ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান কার্যালয়ে পুলিশ ও বিজিবি এক সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকায় নূরে আলা কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত কার্যালয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘিরে রাখে। এরপর তারা নির্বাচনী কার্যালয়ের দুটি গেইটের একটি বন্ধ করে দেয়। এ সময় কার্যালয়ে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি কক্ষে আটকে তাদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ছয়জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, সন্ধ্যার পর নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দেয়। এতে জড়ো হওয়া নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
ছয়জনকে আটকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সিলেট-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। ছবি : এনটিভি
পরে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের দেখে বলেন, এই হলো নির্বাচন। এই হলো আওয়ামী লীগ সরকার। আমার তো অভিযোগ দেওয়ার কেউ নাই। আপনাদের সিলেটবাসীর কাছে আমার অভিযোগ কত বড় জালিম এরা, কত বড় জালিম যে পুলিশরে রাখা হয়েছে আপনাদের ও আমাদের রক্ষার জন্য তাদের তারা যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করে। রাষ্ট্রের মানুষের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। আমি বিএনপির প্রার্থী, আমার অফিসে ঢুকে মানুষ আটক করে, বাসা-বাড়িতে ঢুকে মানুষ আটক করে। আপনাদের মিডিয়ার মাধ্যমে আমি সিলেটবাসীর প্রতি ফরিয়াদ জানাই সিলেটবাসীর ভোটাররা আপনারা ছাড়া আমার কোনো সহায় নাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মেহেরবানীতে আপনাদের উছিলায় এই জুলুমের অবসান হতে পারে। আপনারা যদি ৩০ তারিখ বের হন এই জালিমদের কোনো কৌশল আর কাজে লাগবে না। আর তারা জানে আপনাদের মনে তাদের জন্য কোনো স্থান নাই। এই জন্য তারা জুলুমে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যেন একটা আতঙ্ক ছড়ায় মানুষ যেন ভোটের দিন বের না হয়। আপনাদের কাছে আবেদন, আপনারা বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো ৩০ ডিসেম্বর বের হয়ে আসেন। সকাল ৭টায় ভোট কেন্দ্রে এসে লাইন দেন। ইনশা আল্লাহ এই জুলুমের শেষ হবে।
খন্দকার আবদুল মুক্তাদির আরো বলেন, আমরা একটা ন্যায়ের বাংলাদেশ গঠন করব। সেই বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও কোনো জুলুম হবে না। যদি আমরা দায়িত্বে থাকি, আমরাই নিশ্চিত করব কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে কেউ যেন জুলুমের শিকার না হন। কোনো ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে, কোনো বর্ণ পরিচয়ের কারণে কোনো বিশেষ বয়সের বিশেষ পেশার লোক যেন জুলুমের শিকার না হয়। ইনশা আল্লাহ সেটা আমরা নিশ্চিত করব।