কক্সবাজারে দিনে-দুপুরে রামদা-বন্দুক নিয়ে মহড়া, ভিডিও ভাইরাল
প্রকাশ্যে রামদা, ধারালো অস্ত্র, কাটাবন্দুক (এলজি) নিয়ে মহড়া দিচ্ছে কয়েকজন যুবক। একজন বন্দুকে ফাঁকাগুলি করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছে। চারপাশ থেকে দৌড়ে সরে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া, পেকুয়া) আসনের চকরিয়ায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। এ ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র গতকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, একজন গুলি করতে করতে সামনের দিকে যাচ্ছে। তখন যিনি ভিডিও করছিলেন, তিনি বলেন, ‘ইন ভালা ন অঁর আঁরা। ইন ভালা ন অঁর। (এটা ভালো হচ্ছে না, এটা ভালো হচ্ছে না)। আরেকজন বলছিল, ‘ইক্কা কিয়াল্লা আই ওর দে, ভিডিও কিল্লা গড়ত দে (এদিকে কেন আসছ, ভিডিও কেন করছ)।’ ওই সময় আরেকজন ভিডিওচিত্র গ্রহণকারীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে গালাগাল দিতেও শোনা যায়।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ তুলেছেন, চকরিয়া-পেকুয়ার নির্বাচনী এলাকায় এভাবেই প্রতিদিন অস্ত্র হাতে মহড়া দিচ্ছে এই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাফর আলমের ক্যাডাররা। এটি তাঁরই একটি অংশ বলে দাবি করেন তাঁরা।
চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, ‘ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এসব করা হচ্ছে। বিএনপির প্রার্থীর পক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের এভাবে হামলা ও হুমকি দিয়ে বাধা দেওয়া হচ্ছে।’
এই ধরনের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন কক্সবাজার- ১ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা, নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ ধরনের ঘটনার দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিএনপির একাধিক নেতা দাবি করেছেন, পুলিশের সহযোগিতায় এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলছে চকরিয়া-পেকুয়ায়। এ ধরনের মহড়া দেওয়ার সময় পুলিশ গাড়ি নিয়ে কিছু দূরে অপেক্ষা করে। কিন্তু ব্যবস্থা নেয় না।
স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, কাটাবন্দুক দিয়ে গুলিবর্ষণ করতে থাকা যুবকটি হলো সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম। এ ছাড়া ভিডিওতে মিজান, বেলাল, রুহুল আমিন, জমির মেম্বার, আমিন, নুরুল হক, উড়িস্যা নামের বেশ কয়েকজন যুবকের নাম ধরে ডাকতে শোনা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম লিটু জানান, ওই যুবকরা আওয়ামী লীগের কর্মী না। তিনি তাঁদের চেনেন না বলে দাবি করেন।