সময় টিভিকে বিএনপি প্রার্থী কায়সার কামালের আইনি নোটিশ
মিথ্যা বানোয়াট, মানহানিকর, ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে সংবাদ প্রচার করার অভিযোগে বেসরকারি টেলিভিশন ‘সময় টিভি’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
পাঠানো নোটিশে সংবাদ প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চেয়ে আরেকটি সংবাদ প্রচার করতে বলেছেন কায়সার কামাল। অন্যথায় চ্যানেলটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি নোটিশে উল্লেখ করেন।
আজ সোমবার ডাকযোগে পাঠানো ওই নোটিশে সময় টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জুবায়ের এবং হেড অব নিউজ তুষার আব্দুল্লাহকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয় যে, ‘আমাদের মক্কেল ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সুপ্রিম কোর্টের একজন খ্যাতনামা আইনজীবী। তিনি স্থানীয় পর্যায়ের একজন সমাজ সেবক। সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বাংলাদেশের বৃহত্তম দল বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। মানবধিকার কমিশন অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সাবেক সদস্য। তিনি নেত্রকোনা-১ আসন (দুর্গাপুর-কলমাকান্দি) এলাকার নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী।
গত ২২ ডিসেম্বর রাত ৯টায় আপনার টিভি চ্যানেলে মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর, ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে একটি সংবাদ পরিবেশন করা হয়। ওই সংবাদে বলা হয়; আইএসের সুপারিশে বিএনপি ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে মনোনয়ন দিয়েছে। মিথ্যা বানোয়াট এ সংবাদটির মাধ্যমে আমাদের মক্কেল ব্যারিস্টার কায়সার কামালের রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। এতে আরো উল্লখ করা হয়, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল তাঁর দলের নেতাকর্মীদের আইনগত সহায়তা দিয়ে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।’
নোটিশে বলা হয়, ‘তিনি বিএনপির আইন সম্পাদক হিসেবে কয়েক বছর ধরে বিরামহীনভাবে আইনগত সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাঁর এ অনন্য ভূমিকার কারণে দল তাঁকে একাদশ জাতীয় সংসদে মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর মনোনয়নের জন্য অন্য কোনো স্থানে সুপারিশের প্রয়োজন নেই।’ এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘সময় টিভিতে একটি মিথ্যা, বানোয়াট, মানহানিকর, ভিত্তিহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত একটি সংবাদ পরিবেশন করায় তার রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।’
নোটিশে বলা হয়, ‘এ সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর প্রতিপক্ষ ব্যাপকভাবে প্রচার করছে। এতে আপনি তাঁর মর্যাদা ধ্বংস করেছেন। আপনার প্রচারিত ও প্রকাশিত সংবাদটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী একটি ফৌজদারি অপরাধ। আপনি কোনো প্রকার সত্যতা যাচাই না করে ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে আপনার পেশাগত অসদাচরণ ও নীতি নৈতিকতার পরিপন্থী পরিচয় দিয়েছেন।’
নোটিশে আরো বলা হয়, ‘এ অবস্থায় উক্ত সংবাদটি প্রত্যাহার করে এবং ব্যারিস্টার কায়সার কামালের নিকট ক্ষমা চেয়ে একটি সংবাদ প্রকাশের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হলো। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনানুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’