মহাজোটের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ২০ মামলা, ঐক্যফ্রন্টের বিরুদ্ধে ১৭৭
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতায় প্রায় ৬৫ ভাগ প্রার্থী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীদের মধ্যে অতীতে ১২১ মামলা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ২০টি। সেক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থীদের অতীতে মামলা ছিল ১৪৮টি, বর্তমান ১৭৭টি।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রতিবারের মতো একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন করে সুজন। যেখানে উঠে এসেছে প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, মামলা সংক্রান্ত ও বাৎসরিক আয়ের বিস্তারিত তথ্য।
এবারের জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে, এমন ধারণা প্রকাশ করে সুশাসনের জন্য নাগরিক- সুজন বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য যে ধরনের অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন তা এখনো সৃষ্টি করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দান, হামলা, গ্রেপ্তারি, হয়রানি এসব কারণে সারা দেশেই অনেক প্রার্থী নির্বিঘ্নে প্রচারকাজ চালাতে পারছেন না। অনেক এলাকাতেই অনেক প্রার্থী অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা-সংশয় বাড়তে থাকে। ফলে ভোটকেন্দ্রে তারা উপস্থিত হবে কি না, এটা নিয়ে দোলাচল থাকে।’
তথ্য উপস্থাপনে দেখা গেছে অনেক প্রার্থীই আয়কর বিবরণী জমা দেননি, যাদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করে সুজন।
সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সরাসরি ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে তারা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। কিন্তু কারো মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি। শুধু তাই নয়, সরকার থেকে বেতন-ভাতা পান, সে রকম ব্যক্তিরাও প্রার্থী হয়েছেন। এ রকম অনেক প্রার্থী আছেন যাদের নিয়ে প্রশ্ন আছে কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেন নাই।’
প্রার্থিতা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়াটি সত্যিকারে কার্যকর করার তাগিদ দিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘হলফ নামায় মিথ্যা তথ্য থাকলে নির্বাচনের পর তা যাচাই করে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেবে।’