‘কাপুরুষেরা পেছন থেকে হামলা করছে’
ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা যেখানেই প্রচারণায় যাচ্ছি সেখানেই সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা করানো হচ্ছে। কোনো প্রকার লিফলেট বিতরণ করতে দিচ্ছে না। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে পেছন দিক থেকে হামলা করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘কাপুরুষরা সব সময় পেছন দিক থেকেই হামলা করে।’
আজ রোববার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে এসব কথা বলেন আফরোজা আব্বাস। রোববার সকাল সোয়া ৮টা থেকে দুপুর দেড়টার মধ্যে তিন দফায় রাজধানীর মানিকনগর কাঁচাবাজার, কমলাপুর ও মুগদা এলাকায় প্রচারণায় গেলে তার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আফরোজা আব্বাস। এ সময় কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার পর এ বিষয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আফরোজা আব্বাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার গাড়ি ভাঙচুর করছে। কর্মীদের মারপিট করছে। আমি একজন মহিলা মানুষ। সাহস থাকলে সামনে থেকে হামলা করত। কিন্তু এরা তো কাপুরুষ। কাপুরুষরা সব সময় পেছন দিক থেকেই হামলা করে।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাস্তায় কীভাবে বের হব? নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। তাহলে আমরা কী করব?’
আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমাকে হত্যার উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। আমি বাসাবো চৌরাস্তায় গণসংযোগ করার জন্য গাড়ি থেকে নেমেছি মাত্র। দেখলাম,ওরা নৌকার স্লোগান দিতে দিতে এলো হাতে লাঠি আর হকিস্টিক।’
আফরোজা বলেন, ‘আমাকে হত্যার উদ্দেশে এ আক্রমণ ওরা চালায়। আমি গাড়ি থেকে বের না হলে ওরা আমাকে মেরে ফেলত। আমার গায়ে হাত দিল, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। আমার ড্রাইভারকে ক্ষত-বিক্ষত করেছে, ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমার গাড়ির দরজা ভেঙেছে, গাড়ির কোনো গ্লাস নেই। তারা সাংবাদিকদের মেরেছে, ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছে।’
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা-৯ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাসের নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও হামলা চালানো হয়। গোড়ানের নবাবী মোড়ে পুলিশের সামনে এই হামলা চালানো হয়। হামলায় আফরোজা আব্বাসের ৮০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির ও মাদারটেক এলাকায় আফরোজা আব্বাসের ওপর দুই দফা হামলা চালানো হয়। এর আগে নির্বাচনী প্রচরণায় গেলে আরো তিনদিন কয়েক দফায় আফরোজা আব্বাসের ওপর হামলা করা হয়।