নিজ নির্বাচনী এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা ও নির্যাতনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বলি কিন্তু কোনো কাজ হয় না।’

আজ রোববার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

মান্না বলেন, ‘জোর করে জেতার চেষ্টা করতে গিয়ে জনগণ যদি ফুঁসে ওঠে, সেই পরিণতির জন্য ক্ষমতাসীনরা দায়ী থাকবে।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বহু প্রার্থী গ্রেপ্তার হচ্ছে এবং নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়েও নাটক করা হচ্ছে। আজকে পত্রিকায় দেখলাম জাতিসংঘ পর্যন্ত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটা একটা নারকীয় পরিবেশ, এটা কোনো নির্বাচনী পরিবেশ নয়, এভাবে নির্বাচন যদি হয়! তাহলে একপক্ষীয়ভাবে জোর করে জিতে নেওয়ার চেষ্টা করবে। তখন জনগণ যদি ফুঁসে ওঠে, সেই পরিণতির জন্য এরাই দায়ী থাকবে, যারা এখন ক্ষমতায় আছে।’

মান্না বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে বলি কিন্তু কোনো কাজ হয় না। নির্বাচন কমিশন একটা ঠুঁটো জগন্নাথের মতো। শুধু কথা শোনে। আর বলে- যেমন আজকেও উনি বলেছেন, আচ্ছা এই কাগজটা আমি ডিসি সাহেবকে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমি বললাম তারপর তদন্ত করতে যদি চারদিন লাগে, তাহলে তো ভোটই শেষ হয়ে যাবে। উনি বলছেন যে, না তাড়াতাড়ি করব। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অ্যাকশন আমি দেখতে পাইনি। আমরা সবাই মিলে অন্তত দুই-তিনবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছি। এগুলোর কোনো ফলাফল আমরা পাই নাই।’

ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, ‘একেবারে উত্তর বঙ্গের ঠাকুরগাঁও থেকে চট্টগ্রামের যেখানেই খবর পাচ্ছি, সব জায়গায়ই মানুষের মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্ততা, এক ধরনের ঢল এবং আমি বলব মানুষের মধ্যে একটা দৃঢ়তা, তারা এবার ভোট দিতে চায়। মানুষ যাতে ভোট দিতে না পারে, তার জন্য সব রকম সন্ত্রাস করে তারা ভোটটা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি।’

মান্না বলেন, ‘এটা শেষ করেই আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় যাব। সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে আমি একটা কথা বলি, আমরা আগে বলতাম নির্বাচনী যুদ্ধ। আর এখন এটা নির্বাচনের নামে যুদ্ধই হচ্ছে। সরকারপক্ষ তাই করছে। গভীর রাতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। সারা দেশে একই অবস্থা চলছে।’