ফরিদপুরে বিএনপি নেতাদের আ.লীগে যোগদান
উন্নয়ন দেখে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিলেন ফরিদপুরের কয়েকজন নেতা। এর মধ্যে কোতোয়ালি থানা বিএনপির সভাপতি রউফ উন নবী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব আলী কুটুও রয়েছেন।
গতকাল শনিবার রাতে সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তুলাগ্রাম মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সমাবেশে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার ইফতেখার হোসেন ইকু মিয়ার সভাপতিত্বে নির্বাচনী এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ফরিদপুরের উন্নয়নের জন্য আমি আমার জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত কাজ করে যাব। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ফরিদপুরবাসী অবহেলিত অবস্থায় ছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আপনারা আমাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করার পর থেকে আমি ফরিদপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। উন্নয়নের ছোঁয়া এখন সর্বত্র বিরাজ করছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে উন্নয়ন হবে, অন্য কেউ ক্ষমতায় এলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। তিনি এ সময় তাঁর নিজ ইউনিয়নের সবার কাছে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা রউফ উন নবী বলেন, ‘আমার ৬২ বছর জীবনের ৪০ বছর ধরে বিএনপি করেছি। গত ১০ বছরে ফরিদপুরে যে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, তাতে আমি খুশি। খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে খুশি হয়ে আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করলাম।’ তিনি নৌকা প্রতীকে সবার কাছে ভোট প্রার্থনা করে বলেন, ‘আপনারা ৩০ তারিখে নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন। নৌকায় ভোট দিলে দেশে শান্তি আসবে, উন্নয়ন বজায় থাকবে।‘’
রউফ উন নবী আরো বলেন, ‘আমি কিছু পাওয়ায় আশায় আওয়ামী লীগে যোগ দিইনি। অনেকে বলেছে, আমি নাকি কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হতে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছি। তা ঠিক নয়, আমি আর চেয়ারম্যান প্রার্থী হবো না। আর আমার ইউনিয়নটি প্রস্তাবিত সিটি করপোরেশনের আওতায় পড়েছে। আমি আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চাই।’
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক মোল্যা, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, যুবলীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম ফোয়াদ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।