বাধা উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান ২৯ বিশিষ্ট নাগরিকের
জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থার পূর্বশর্ত হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিশ্চয়তা, ভয়ভীতি আর সহিংসতার বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ জরুরি বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।
আজ শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘নাগরিকদের পক্ষে আমরা’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন ২৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
এ সময় সব বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ব্যাপকভাবে ভোট কেন্দ্রে হাজির হতে নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
একটি স্বাধীন দেশে, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এই আশঙ্কা কাটছে না বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন বক্তারা। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সব দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, এটা ভালো দিক উল্লেখ করে, নাগরিকের মত প্রকাশের অধিকার প্রশ্নবিদ্ধ বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা।
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকার যদি না থাকে, যদি তার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হয়। তাহলে একটা দেশ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ছত্রবেশে রাজতন্ত্রীয় ব্যবস্থার মধ্যে চলে যেতে পারে। আমাদের সেই প্রতিষ্ঠানগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন বলেন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনে সাংবাদিক দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা ধরে নিচ্ছি, এর কোনো ব্যত্যয় হবে না। যদি হয় তাহলে আমরা জানব যে সাংবাদিকদের যে কাজটা করার কথা তা করতে দেওয়া হলো না।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সংবাদকর্মীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শাহদীন মালিক বলেন, আমরা আশা করব, নির্বাচনে সেনাবাহিনী একটা বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। সারা দেশে তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন। এবং এতে কেউ বাধা দিবে না।
ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, আমাদের আদালতের ওপর ভরসা থাকার কথা, আমরা রাখতে চাই সব সময়। আমাদের বড় প্রশ্ন এই মুহূর্তে যে, পুলিশ এবং অন্যান্য ফোর্সগুলো এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকার কথা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এগুলো দেখে না কেন?
সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই, অনুষ্ঠিত হতে পারে অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন, যা বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিমত ব্যক্ত করা হয়।