নওগাঁ-৫ আসনে বিএনপির তিনটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর
নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে বিএনপির তিনটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করা হয়েছে। চারটি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীর সব পোস্টার ছিঁড়ে ও কেটে ফেলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নওগাঁ পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উকিলপাড়া, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জেলেপাড়া ও হাসাইগাড়ী ইউনিয়নের ভিমপুর গ্রামে তিনটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা। এ ছাড়া, হাসাইগাড়ী, বলিহার, চন্ডিপুর ও তিলকপুর ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীর সব পোস্টার ছিঁড়ে ছিড়ে ও কেটে ফেলা হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে বিএনপির প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম ধলু বলেন, গত সাত দিনে নওগাঁ সদর আসনে ২২-২৩ টির মতো বিএনপির নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দেওয়া হয়েছে। রাতের আধারে সন্ত্রাসীরা হেলমেট পরে বের হয়ে বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার-ব্যানার ছিড়ে ফেলছে, কেটে দিচ্ছে। নওগাঁ পৌর এলাকা ও ১২টি ইউনিয়নের অধিকাংশ স্থান ধানের শীষের পোস্টার, ব্যানার শূন্য হয়ে পড়েছে।
জাহিদুল ইসলাম ধলু অভিযোগ করে বলেন, একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ফোন করে কিংবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। পুলিশের হয়রানিতে নওগাঁ সদর উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা চরম পুলিশী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে প্রতিরাতেই পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। গায়েবি মামলা আর গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশী ভীতির কারণে সাধারণ ভোটাররাও এখন ভীত সন্ত্রস্ত্র। ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না।
পুলিশের এ ধরনের কার্যক্রমের কারণ হিসেবে জাহিদুল ইসলাম ধলু বলেন, মাঠ পরিষ্কার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষে পুলিশ এ ধরনের কাজ করে যাচ্ছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) রাশিদুল হক বলেন, ‘পুলিশ ফোন করে কিংবা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে- এ ধরনের অভিযোগ সঠিক হওয়ার কথা নয়। তারপরেও কোনো পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কাউকে হয়রানি করার জন্য গ্রেপ্তার কিংবা আটক করা হচ্ছে না। যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, শুধু তাঁদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।’