দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ নিবাচনী প্রচারণায় পুলিশ বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১০ আসনে বিএনপির প্রার্থী আবদুল মান্নান। আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, বর্তমানে এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যে উপরে আল্লাহ, নিচে গণমাধ্যম ছাড়া আমাদের দেখার কেউ নেই। ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার করতে গিয়ে সরকার বাহিনী কর্তৃক বারবার হামলার শিকার হচ্ছি। এ নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাইনি।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁর ৭০ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মান্নান। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। তফসিল ঘোষণার পর সাত থেকে আটটি মামলাসহ শতাধিক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় আমার নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদিনই বিএনপি জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির প্রার্থী আবদুল মান্নান বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য আমরা ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েনের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু চক্রান্তের মাধ্যমে তাদের মাঠে নামানোটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কথা পুলিশ মানছে না জানিয়ে আবদুল মান্নান বলেন, সরকারি বাহিনী কর্তৃক প্রচারণায় বাধা প্রদানের লিখিত অভিযোগ নিয়ে সিইসির কাছে গেলে তিনি জানান, পুলিশ আমাদের কথা মানছে না।

মান্নান বলেন, আমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইকবাল ইকবালকে তাঁর নিজ বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে গেলে আমি তাঁর সাথে দেখা করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবস্থান করেও দেখা করতে পারিনি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আবদুল মান্নান বলেন, আমার বাসভবনের চারপাশে সাদা পোশাকধারী পুলিশ ও বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমার কর্মী-সমর্থকরা আমার সঙ্গে নির্বাচনী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেখা করতে এলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে থাকে। এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে সরাসরি অভিযোগ করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

‘ক্ষমতাসীনরা কৌশলে আমাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের সিনিয়র নেতাদের ওপর হামলা মামলা করে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে।’ বলেন আবদুল মান্নান।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।