জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছি : শামীম আরা
জীবনের ঝুঁকি নিয়েই আমাদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে হচ্ছে। নেতাকর্মীদের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রার্থী হিসেবে আমারও কোনো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এর আগে আমার স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাসায় কাফনের কাপড় পাঠানো হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা-১১ আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এম. এ কাইয়ূমের স্ত্রী শামীম আরা বেগম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
শামীম আরা অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার প্রচারণার ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেই ছবি থেকে সনাক্ত করে ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের খোকন নামের এক কর্মীকে গত রাতে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। এর আগে বাড্ডা থানার অপর এক কর্মীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে।
বিএনপির প্রার্থী শামীম আরা বলেন, নিয়মিতভাবে আমাদের কর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে হত্যা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এ.কে.এম রহমত উল্লাহর সমর্থকরা। এমন পরিস্থিতির কারণে ছাত্রদল, যুবদল, মূলদলসহ কোনো জ্যেষ্ঠ নেতাকে আমি প্রচারণায় কাজে লাগাতে পারছি না। ফলে বাধ্য হয়ে মহিলা দলের গুটি কয়েক নেতাকর্মীকে নিয়ে কোনো রকমে চলছে আমার নির্বাচনী প্রচারণা। এর মধ্যেও যারা নামছে তাদের ছবি দেখে তালিকা করা হচ্ছে এবং নিয়মিত গ্রেপ্তার চলছে। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে আমরা যতটুকু নামতে পারছি তাতে জনগণ অভূতপূর্ব সাড়া দিচ্ছে। তারা এবার ভোটের মধ্যেমে সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের জবাব দিবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামীম আরা বলেন, পরিবেশ যতই খারাপ হোক না কেন আমরা মাঠে থাকবো এবং ৩০ তারিখে ভোটের মাঠে আমরা সর্বশক্তি নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। কোনো অবস্থাতে যাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতা দখল করতে না পারে সেজন্য আমরা জীবন বাজি রেখে লড়বো।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রসঙ্গে ঢাকা-১১ আসনের বিএনপির প্রার্থী শামীম আরা বেগম বলেন, ‘সেটাতো (ইসি) আরেকটা সরকার যা আওয়ামী লীগের চেয়েও ঝুঁকিপূর্ণ আমাদের জন্য। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে ব্যর্থ এই কমিশন সরকারের নির্দেশে বিরোধীদের দমিয়ে রেখেছে। ইসি শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় বসাতে চায়।’