‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ গড়ায় আ.লীগের ২১ বিশেষ অঙ্গীকার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ‘২১টি বিশেষ অঙ্গীকার’ বাস্তবায়ন করবে আওয়ামী লীগ।
ইশতেহারে তরুণ সমাজকে উৎপাদনমুখী করে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ঘোষিত ইশতেহারে এ কথা বলা হয়েছে।
‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইশতেহার প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন মেয়াদে সরকারে থাকার সময়কার অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়। এর পাশাপাশি বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের সময়কার নানা নেতিবাচক দিকও তুলে ধরা হয়েছে।
এবারের ইশতেহারের মূল বিষয় তারুণ্য এবং গ্রামের উন্নয়ন। ইশতেহারে আওয়ামী লীগ যে ২১টি বিশেষ অঙ্গীকার করেছে, এর প্রথমেই আছে প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা দেওয়া। এরপরই থাকছে যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর ও কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা।
এ ছাড়া সংসদকে আরো কার্যকর করার উদ্যোগ, জবাবদিহিমূলক প্রশাসন নিশ্চিতকরণ, জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গড়ে তোলা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি, প্রতিটি গ্রামকে শহরে উন্নীত করার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, পাঁচ বছরে এক কোটি ২৮ লাখ কর্মসৃজনের পরিকল্পনা গ্রহণ, মেগা প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন, ঢাকা ও বিভাগীয় শহরের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু, উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যমুনার তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা, দারিদ্র্য নির্মূল, সবস্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি, সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা, সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার এবং ‘ফাইভ-জি’ চালু, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা সম্প্রসারণের অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ।
এ ছাড়া রয়েছে দক্ষ ও সেবামুখী জনপ্রশাসন, জনবান্ধব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা, ব্লু-ইকোনমি এবং সমুদ্র উন্নয়ন করার অঙ্গীকার।
বাবা-মা, ভাই এবং আত্মীয়-পরিজনকে হারানোর পর তাঁর ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইশতেহার ঘোষণায় বলেন, ‘আমি রাজনীতি করছি শুধু জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য, এ দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এ দেশের সাধারণ মানুষ যাতে ভালোভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন পায়, তাদের জীবন সমৃদ্ধশালী হয়, ক্ষুধা-দারিদ্র্য এবং বঞ্চনা থেকে তারা যেন মুক্তি পায়, তাদের জীবনটাকে আরো উন্নত করা—এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য, একমাত্র কামনা।’
যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই আদর্শ তিনি বাস্তবায়ন করতে চান উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আগামী ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা সাড়ম্বরে পালন করব।’