মনে হলো আজকে হয়তো বাঁচতে নাও পারি, হামলার পর নোমান
চট্টগ্রাম-১০ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমানের বিজয় র্যালিতে হামলা চালিয়েছেন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে নোমানসহ অন্তত ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নোমানসহ বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি বাড়ি ও হাসপাতালে আশ্রয় নিলে সেখানে ভাঙচুর চালানো হয়।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হালিশহর নয়াবাজার এলাকা থেকে বিজয় দিবসের মিছিল শুরুর আগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বক্তব্য দিচ্ছিলেন। ওই সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় গুলির শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সশস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা পেতে আবদুল্লাহ আল নোমানসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা পাশের একটি বাড়ি ও হাসপাতালে আশ্রয় নেন। ওই বাড়ি ও হাসপাতালেও ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় নোমানের সমর্থনে আসা প্রচার গাড়ি ও মাইক ভাঙচুর করে তারা। পুলিশ হামলাকারীদের আটক না করে বিএনপির পাঁচজনকে আটক করে।
চট্টগ্রামের হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় হামলা থেকে রক্ষা পেতে একটি বাড়ি ও হাসপাতালে আশ্রয় নেন বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানসহ অন্যরা। সেখানেও হামলা চালান যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথকে (গোলচিহ্নিত) লাঠি হাতে দেখা গেছে। ছবি : এনটিভি
বিএনপির নেতারা অভিযোগ করেছেন, চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের ভাই এরশাদুল আমিন ও যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথের নেতৃত্বে ওই হামলা চালানো হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, বিজয় দিবসের মিছিল উদ্বোধন করতে গিয়েই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের অবস্থা তো তাই। ১০০ জনের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। অথচ সেখানে হামলা করেছে আফছারুল আমীনের সমর্থিত আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো।
চট্টগ্রামের হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় হামলা থেকে রক্ষা পেতে একটি বাড়ি ও হাসপাতালে আশ্রয় নেন বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানসহ অন্যরা। সেখানেও হামলা চালান যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছবি : এনটিভি
বীর মুক্তিযোদ্ধা নোমান বলেন, ‘খুব কাছাকাছি দূরত্বে যখন দেখলাম, একজন কিরিচ রেখে রিভলভার বের করছে, তখন আমি খুব ভীত হয়ে গেলাম। নিজেকে খুব অসহায় মনে হলো। তখন মনে হলো আজকে হয়তো বাঁচতে নাও পারি। আমাদের নেতাকর্মীরা সাহসিকতার সাথে নিজেদের জীবন পণ করে আমাকে রক্ষা করেছে।’
বিএনপির প্রার্থী নোমান বলেন, ‘নির্বাচনের কোনো পরিবেশ দেশে নাই। এই অবস্থায় আমরা কেনো নির্বাচন করছি তা আমি নিজেও পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারছি না।’
এদিকে হামলার ব্যাপারে এরশাদুল আমিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হামলার সময় আমি হালিশহর নয়াবাজার এলাকায় ছিলাম না। দুপুরের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারের জন্য ষোলশহর, নাসিরাবাদ ও জাকির হোসেন রোড এলাকায় ছিলাম। কে বা কারা হামলা চালিয়েছে আমি জানি না। আমরা সব সময় তাঁকে (নোমান) শ্রদ্ধা করি। তিনি আমাদের এলাকার অতিথি।’