কেশবপুরে পোস্টারও লাগাতে পারছেন না বিএনপির প্রার্থী
যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ অভিযোগ করেছেন, পুলিশ মিথ্যা নাশকতা মামলায় প্রতিদিন তাঁর দলের কর্মী ও সমর্থকদের গ্রেপ্তার করছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা বিএনপির ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না আসার হুমকি দিচ্ছে ও মারপিট করছে। গোটা সংসদীয় আসনে কোনো পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না।
আজ শনিবার দুপুরে কেশবপুর বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন আবুল হোসেন আজাদ।
বিএনপির প্রার্থী অভিযোগ করেন, তাঁর এলাকায় নির্বাচন করার কোনো পরিবেশ নেই। শনিবারও তাঁর দলের এক পৌর কাউন্সিলর ও ইউপি সদস্যসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন যুবদল নেতা ও পৌর কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বাবু, বিএনপি নেতা ইউপি সদস্য সুকানুর রহমান, রেজাউল ইসলাম, জামায়াত নেতা আব্দুস সাত্তার, আবু জাফর, আব্দুল মমিন ও সুলতান শেখ। এ নিয়ে মোট ২৭ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনা উল্লেখ করে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল হোসেন আজাদ আরো বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বুথ দখলের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দলের নেতাকর্মীরা বাড়ি থাকতে পারছেন না। দিন-রাত পুলিশের অভিযান চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আবদুস সামাদ বিশ্বাস, থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আবদুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মশিয়ার রহমান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আলা, সিনিয়র সহ-সভাপতি ধানের শীষ প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট অধ্যক্ষ জুলফিকার আলি, প্রচার সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক নুরুজ্জামান চৌধুরী, বিএনপি নেতা শাহাবুদ্দিন বাবলু, ফজলে করিম, দবির উদ্দিনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।