কক্সবাজারে বিএনপির প্রার্থী হাসিনা আহমদের গাড়িতে হামলা
কক্সবাজার-১ আসনের বিএনপির ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী ব্রিজের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় হামলাকারীরা হাসিনা আহমদের গাড়িসহ তিনটি গাড়ি ও চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং দুটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারসহ শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। তবে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় হাসিনা আহমদের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানা যায়।
সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সাইফুলের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী এ হামলা চালায় বলে স্থানীয় সূত্রে গেছে।
এ ঘটনার পর কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হামলার পর কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ছবি : এনটিভি
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদ বলেন, ‘আজ বেলা সাড়ে ১১টায় গণসংযোগে যাওয়ার পথে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাফর আলমের কর্মী ও সমর্থকরা। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আমার গাড়িসহ সঙ্গে থাকা আরো দুটি গাড়ি ও চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে আমার কর্মীদের দুটি মোটরসাইকেলও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটার আহত হয়েছেন।’
কক্সবাজার-১ আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী দাবি করেছেন, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও নারীরা তাঁকে উদ্ধার না করলে যেকোনো অঘটন ঘটতে পারত বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন হাসিনা আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা আহমদ আরো বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারও চকরিয়া উপজেলার পৌর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জাফর আলমের নেতৃত্বে তাঁর নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। হামলার অভিযোগ নিয়ে চকরিয়া থানায় গেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলমের নেতৃত্বে থানা কম্পাউন্ডের বাইরে তাঁর নেতাকর্মীদের ওপর আরেক দফা হামলা চালানো হয়। ওই সময় থানা কম্পাউন্ডে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন হাসিনা আহমদ। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পুলিশের সহায়তায় তিনি বাড়ি ফিরে যান।
হাসিনা আহমদ দাবি করেন, চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ভোটারদের হুমকিও দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নেতাকর্মীরা।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ করে বিএনপির প্রার্থী বলেন, ‘এভাবে যদি হামলা, ভাঙচুর, নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি ও মারধর করা হয় তাহলে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণা চালানো সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির স্বার্থে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’