আমজাদ হোসেনের মরদেহ দ্রুত আনার চেষ্টা হচ্ছে
বরেণ্য অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের মরদেহ দ্রুতই ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা হচ্ছে বলে ডিরেক্টরস গিল্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নির্মাতাদের এ সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক আজ শনিবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমজাদ ভাইয়ের মরদেহ আগামীকাল রোববার ঢাকায় আসতে পারে। আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
‘ব্যাংকক থেকে মরদেহ দেশে আনার জন্য কিছু নিয়ম আছে, আমরা সেগুলো দ্রুত শেষ করছি। আজ রাতে নিশ্চিত করে বলতে পারব, কখন ঢাকায় তাঁর মরদেহ আসবে। চলচ্চিত্রের পরিবারের সবাই আমরা অপেক্ষা করছি’, যোগ করেন ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমজাদ হোসেন। গত ২৭ নভেম্বর গভীর রাতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে ব্যাংকক নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে আমজাদ হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার তাঁকে বিছানার নিচে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। কখন তিনি অচেতন হয়েছেন, তা আঁচ করতে পারেননি কেউ। এরপর তাঁকে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা তাঁর মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কথা জানান।
আমজাদ হোসেন এ দেশে অভিনেতা, পরিচালক হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। ১৯৬১ সালে ‘হারানো দিন’ চলচ্চিত্রে অভিনয় দিয়ে চলচ্চিত্র শুরু করেন তিনি। পরে চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা শুরু করেন।
প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আগুন নিয়ে খেলা’, ছবিটি পরিচালনা করেন ১৯৬৭ সালে। পরিচালক হিসেবে ‘নয়নমণি’ (১৯৭৬), ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ (১৯৭৮), ‘ভাত দে’ (১৯৮৪) তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।
‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ ও ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেন। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক (১৯৯৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে।
এ ছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য আমজাদ হোসেন ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার ও ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।