রূপগঞ্জে পোস্টার লাগানো নিয়ে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা সদরে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান মনির অভিযোগ করে বলেন, ‘আজ কায়েতপাড়া ইউনিয়নে আমার দলের নেতাকর্মীরা রূপগঞ্জ থানার পাশে পোস্টার লাগানোর কাজ করছিলেন। পোস্টার লাগানো শেষে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলে ও পুড়িয়ে দেয়। এরপর আমাদের কর্মীরা সেই এলাকায় যাওয়ার পর তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর মোমেন নামের আমাদের এক কর্মীর বাড়িতে তারা হামলা চালায়। সেই বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে সোনাদানা ও টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে যায় এবং অনেককেই পিটিয়ে আহত করে।’
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা সদরে ভাঙচুরের ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান মনির। ছবি : এনটিভি
কাজী মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘ভোলাবতে আমাদের নির্বাচনের প্রচারণা করার কথা ছিলো। সেখানে আমাদের কর্মীরা জমায়েত হওয়ার সাথে সাথেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র এবং অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে মিলিত হয়। সেখানে কোনোভাবেই তারা আমাদের নেতাকর্মীদের প্রচারণা চালাতে দেবে না। সেখানে আমাদের নেতাকর্মীরা হয়তো ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। এর ফলে সংঘর্ষ ও আহত হওয়ার ঘটনা অস্বাভাবিক ছিলো না। ভোলাবর অফিসটি আমরা কয়েকবছর যাবত আমাদের দলীয় অফিস হিসেবে ব্যবহার করে আসছি। দুইদিন আগে সেই অফিসটিতে ভাঙচুর করা হয়। সেখানে আমাদের পোস্টারও তারা অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে ফেলে।’
মনির বলেন, ‘আজকেও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা একসঙ্গে মিলিত হন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা যুবলীগ সভাপতি শফিকুল, সেক্রেটারি আল আমিন, ছাত্রলীগ নেতা সৌরভের নেতৃত্বে পুলিশের সামনেই বোমা ফাটায় এবং আকাশে গুলি নিক্ষেপ করে। ধানের শীষের কোনো প্রচারণা তারা চালাতে দেবে না।’
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের মিডিয়া বিষয়ক কর্মকর্তা সাজ্জাত রূমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুরের ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।